চাঁশিবা ডেস্কঃ
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে এখন একেবারে বিচ্ছিন্ন । ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবরণে তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। আইনিভাবে ব্যর্থ হয়ে বিশেষ শর্তে ৬ মাসের জামিনে রয়েছেন গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে।
এরপর গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। এ জামিনও শেষের পথে।
খালেদা জিয়ার পরিবার সরকারের সাথে সমঝোতা করছেন বলে বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে। তার পরিবার সরকারের গ্রীন সিগন্যাল পেলেই তাকে নিয়ে যাবেন লন্ডনে। খালেদা জিয়াও দেশ ছাড়ার ইচ্ছা জানিয়েছেন পরিবারকে। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তার পরিবার।
আবেদনে কী থাকছে, কীভাবে পূর্বের ন্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছে পরিবার, এ বিষয়ে বিএনপির হাইকমান্ড পুরোপুরি অন্ধকারে রয়েছেন। খালেদা জিয়ার পরামর্শে পরিবারই সবকিছু করছেন বলে জানান বিএনপি’র একাধিক শীর্ষ নেতা।
দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার ইমেজ রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষুন্ন করে ফেলেছে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার। তাই তিনি হয়তো আর রাজনৈতিক অঙ্গনে মৌলিকভাবে আসবেন না। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও বেঁচে থাকাকেই এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তার পরিবার।
শারীরিকভাবে নানা সমস্যায় জর্জরিত বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অধ্যায় হয়তো শেষের পথেই বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক নেতা জেলে গেলে অনেক সময় আরও বিকশিত হন, আরও বড় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার জেলজীবন তার রাজনৈতিক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটছে দলের কার্যত ভূমিকার কারণে। আড়াই বছরে দল খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কিছুই করতে পারেনি। তাই তিনি দেশ ছেড়ে লন্ডনে বসবাসকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে তার পরিবার সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সুত্র-জাগরণ নিউজ।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায় : মাল্টিকেয়ার
Leave a Reply