চাঁশিবা ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছায় সারাদেশব্যাপী প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া সেদিনের পৌরসভা ও লক্ষীপুর-২ আসনের আসনের নির্ধারিত নির্বাচনও স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব নির্বাচন স্থগিত থাকবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সিইসি কে এম নুরুল হুদা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ৩০ নভেম্বরের পর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। কিন্তু মার্চের শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। কয়েকদিন ধরে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। মৃত্যুর তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে।
মহামারির নতুন ধাক্কা আসার এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর ফলে ১১ এপ্রিলের ভোট হবে কিনা না নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে ১৯ জেলার ৬৪ উপজেলার ৩৭১ ইউপি, ষষ্ঠ ধাপের ১১ পৌরসভা ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত এলো ইসির পক্ষ থেকে।
ইসির বৈঠক সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের এমন পরিস্থিতিতে ১১ এপ্রিলের নির্বাচন করা উচিত হবে না। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকেও বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন এসব নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলে আমরা স্বাগত জানাব।
অন্যদিকে গতকাল ৩১ মার্চ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও পাবনার সুজানগর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও আদালতের নির্দেশে এই দুই পৌরসভার নির্বাচনও স্থগিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘করোনায় সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে সময়টি নির্বাচন উপযোগী নয়। নির্বাচনের সময় করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। এ সময় প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা দেখা যায় না।’
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায় : মাল্টিকেয়ার
Leave a Reply